মো. সাহাবুদ্দীন সাইফ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানার উদ্যোগে আয়োজিত আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠান সম্পন্ন।
রোববার ৭ই মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মডেল থানার সামনে জেলাপরিষদ অডিটোরিয়ামে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ মোকিবের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত আর গীতাগ্রন্থ থেকে গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে পর্দার সাহায্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ সরাসরি উপভোগ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও দোয়া মোনাজাত করেন দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়া। এতে আরো বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম. রাশেদুল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হোসেন ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম জেলা সহকারী পুলিশ সুপার এমরান হোসেন পিপিএম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্লাহ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আফরিন মুক্তা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার নুরুল আলম, নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল হুদা, হাটহাজারী ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি হাসানুজ্জামান বাচ্চু, ১১নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ শামীম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন দক্ষিণ পাহাড়তলি ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী শফিউল আজম, হাটহাজারী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী ভাষণের স্মারক হিসেবে দিনটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেদিন মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে দীর্ঘ ২২ বছরের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছিলেন। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রস্তুত করেছিলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুললে দেশ আরো এগিয়ে যেত। পুলিশ বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনী আছে বলে আওয়ামীলীগ নেতার গায়ে এখনো মুজিব কোট আছে।
আলোচনা শেষে এই উপলক্ষে জয় বাংলা স্লোগানে দিয়ে কেক কাটা হয় এবং সর্বশেষ দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের রাজনৈতিক অসংখ্য নেতৃবৃন্দ, ইউপি সদস্য হস বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।