ভোরের বাংলা ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার ১৪ মাস পর কেন্দ্র থেকে অনুমোদন দেওয়া হল ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
গত ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কাউন্সিল অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে- এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর রহমান নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিনকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সদস্য পদে রাখা হয়েছে।
নির্বাচনে সভাপতি পদে এম এ সালাম ২২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছিলেন ১২৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর রহমান পান ১৯৬ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছিলেন ১৫৪ ভোট।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান। তিন বছরের জন্য অনুমোদিত কমিটিতে সভাপতি ও সম্পাদকীয় পদে রয়েছেন ৩৯ জন এবং সদস্য করা হয়েছে ৩৬ জনকে।
এতে সহসভাপতি পদে ১১ জনের মধ্যে রয়েছেনঃ অধ্যাপক মো. মাইনুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, এহসানুল হায়দার চৌধুরী, আবুল কাশেম চিশতী, স্বপন কুমার তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার হারুণ, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মো. ফখরুদ্দিন, সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা, মহিউদ্দিন রাশেদ ও মিরসরাইয়ের জসিম উদ্দিন।
তিন জন যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন যথাক্রমে নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, দেবাশীষ পালিত ও জসিম উদ্দিন শাহ। তিন জন সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন যথাক্রমে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ খদিজাতুল আনোয়ার সনি, মো. মহিউদ্দিন বাবলু ও নজরুল ইসলাম তালুকদার।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এম এ সালাম ও এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম ২৭ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গিয়েছিলেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ছিলেন আগের কমিটির সহসভাপতি। সাবেক সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর মৃত্যুর পর প্রথম সহসভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বছরখানেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন শেখ আতাউর রহমান ও গিয়াস উদ্দিন। আতাউর উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। গিয়াস উদ্দিনও মীরসরাইয়ের বাসিন্দা।
ছাত্রলীগের একসময়ের তুখোড় নেতা গিয়াসউদ্দীন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে সংসদ নির্বাচনে মীরসরাই থেকে মনোনয়ন নিয়ে মোশাররফের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন গিয়াস উদ্দিন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগের কমিটিতে তিনি সদস্য ছিলেন।
নতুন কমিটিতে ফজলে করিম ও গিয়াস উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখ আতাউর রহমান বলেন, উনারা আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সুতরাং সালাম ভাইয়ের অধীনে তো ফজলে করিম সাহেবকে সহসভাপতি করা যায় না। আবার গিয়াস সাহেব তো আমার অধীনে যুগ্ম সম্পাদক হতে পারেন না। নির্বাচন করেছি বলে আমাদের মধ্যে কোনো মতভেদ-দ্বন্দ্ব নেই। আমরা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করব।
নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকাঃ-
সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি ১.অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, ২.অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন, ৩.মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, ৪.আবুল কালাম আজাদ, ৫.মো. রফিকুল ইসলাম, ৬.এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ৭.আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, ৮.আবুল কাশেম চিশতী, ৯.এহেসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল,১০.স্বজন কুমার তালুকদার, ১১.জসীম উদ্দিন।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক:-১.নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার,২.দেবাশীষ পালিত, ৩.জসীম উদ্দিন শাহ্। সাংগঠনিক সম্পাদক:-১.খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি,২. মহিউদ্দিন বাবুল, ৩. নজরুল ইসলাম তালুকদার। কোষাধ্যক্ষ :- আফতাব খান অমি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক :- প্রদীপ চক্রবর্তী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক :- জেবুননেছা জেসি, দপ্তর সম্পাদক :- নুর খান,
উপ দপ্তর সম্পাদক :- ইয়াছিন মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক :- ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক :- মো. আলী শাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক :- ব্যারিস্টার প্রিয়াংকা আহসান প্রিয়া।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক :- জাফর আহমদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক :- নাজিমুদ্দিন তালুকদার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক :- আবু তালেব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক :-এনায়েত হোসেন নয়ন, শিক্ষা মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক :- ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উল আলম লাভলু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক :- আলাউদ্দিন সাবেরী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক :- ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুণ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক :- ডা. মো. সেলিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক :- মহসীন জাহাঙ্গীর, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক :- ইদ্রিস আজগর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক :- শাহজাহান সিকদার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক :- ডা. মো. মোস্তফা।
কার্যনির্বাহী সদস্যঃ-১. সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, ২. সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, ৩.সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, ৪. নুরুল আলম চৌধুরী, ৫. মো. আবুল বশর, ৬.মো. গিয়াস উদ্দিন, ৭. ডা. শেখ শফিউল আজম, ৮. ইউনুচ গনি চৌধুরী, ৯.শওকত আলম, ১০. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ১১. বেদারুল আলম চৌধুরী, ১২. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ১৩. ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রুহেল, ১৪. কাজী মো. ইকবাল,১৫. মো. ইদ্রিস, ১৬. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী বাবুল, ১৭. দিদারুল আলম বাবুল, ১৮. মো. আলী খসরু, ১৯. আকতার হোসেন খান,২০. ডা. নুরুদ্দিন জাহেদ, রুস্তম আলী।
২১. মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ২২. সরওয়ার হাসান জামিল, ২৩. মো. সেলিম উদ্দিন, ২৪. শাহেদ সরওয়ার শামীম, ২৫. ভূপেশ বড়ুয়া, ২৬. সরওয়ার্দ্দী সিকদার, ২৭. গোলাম রব্বানী,২৮. ফেরদৌস হোসেন আরিফ,২৯. আবদুল হালিম, ৩০.রাজিবুল হাসান সুমন, ৩১. বখতিয়ার সাঈদ ইরান, ৩২. হাসিবুল সোহাদ চৌধুরী শাকিব, ৩৩. আফতার উদ্দিন, ৩৪. মাহমুদ পারভেজ,৩৫. মনজুর মোরশেদ ফিরোজ।